“এসইও কি এবং এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ” যা একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার এর অবশ্যই জানা উচিত।
আজ আমি এসইও এর বেসিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করছি আপনারা যারা এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন তাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?
এসইও মানে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। সহজ কথায়, এর অর্থ হল যখন কেউ গুগল, ইয়াহু এবং বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করে তখন আপনার ওয়েবসাইটকে শীর্ষে দেখানোর প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, সার্চ ইঞ্জিন এর সকল নীতিমালা মেনে আপনার ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পেজে দেখানোর কৌশল।
এসইও কিভাবে কাজ করে?
এসইও কিভাবে কাজ করে তা জানতে হলে সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিন কি সেটা ভালোভাবে জানতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন হলো এক ধরণের প্রোগ্রাম। যা World Wide Web(WWW) এর অন্তর্ভুক্ত। সার্চ ইঞ্জিন এর সঠিক ব্যবহারের মাদ্ধমে মানুষ যে কোনো ধরণের তথ্য, ডকুমেন্ট এবং যেকোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। মানুষ কোনো কিছু জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এ সার্চ করলে, সার্চ ইঞ্জিন কি দেখাবে এবং কিভাবে দেখাবে সেটা সার্চ ইঞ্জিন বটস নির্ধারণ করে থাকে।
সার্চ ইঞ্জিন গুলো বিভিন্ন এলগোরিদম এর মাদ্ধমে কাজ করে থাকে। এলগোরিদম হলো একধরণের জটিল প্রক্রিয়া। সার্চ ইঞ্জিনের প্রধান কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ করা এবং ব্যবহারকারীকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে:
১. ওয়েব ক্রউলিং
২. ইনডেক্সিং
৩. ফলাফল প্রদর্শন
১. ওয়েব ক্রউলিং
সার্চ ইঞ্জিন কাজ শুরু করেন ক্রলিং এর মাধ্যমে। এই ধাপে ওয়েব ক্রলার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে এবং নিজস্ব সার্ভারে সেগুলো জমা করে। ওয়েব ক্রলার হচ্ছে একটি অটোমেটেড প্রোগ্রাম। স্পাইডার নামে সার্চ ইঞ্জিন এর একটি ক্রলার রয়েছে যেটি সকল ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন ফাইলস এবং তথ্য পর্যবেক্ষণ করে। এই স্পাইডার কোন পেজ পর্যবেক্ষণ করবে এবং কোন পেজ পর্যবেক্ষণ করবে না সেটা নির্ভর করে ওয়েবসাইট স্ট্যান্ডার্ড ফাইল “robots.txt” এর উপরে।
২. ইনডেক্সিং
সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার বিভিন্ন ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে সংগ্রহকৃত প্রাপ্ত ডাটা নিদির্ষ্ট ডাটাবেজে সংরক্ষনের প্রক্রিয়ায় ইনডেক্সিং। চলুন আরেকটু সহজ ভাবে বুঝার চেষ্টা করি। চিন্তা করুন, আপনি আপনার সকল বই এর একটি লিষ্ট তৈরী করবেন। বইগুলোর লেখকের নাম এবং কত পৃষ্ঠার বই ইত্যাদি। এর জন্য আপনাকে প্রতিটি বই এর লেখকের নাম এবং বই এর শেষের পেজ নম্বর দেখতে হয়েছে যাকে বলা যেতে পারে ক্রলিং এবং সকল বই গুলোর লিষ্ট আপনি যখন লিখে রাখেন সেটা হচ্ছে ইনডেক্সিং। গুগলের বিশাল ডাটা সেন্টারে সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার দ্বারা সংগ্রহকৃত তথ্য সমুহ সংরক্ষণ করা হয়।
৩. ফলাফল প্রদর্শন
ফলাফল প্রদর্শন হলো সার্চ ইঞ্জিনের সর্বশেষ ধাপ। যখন কোনো ব্যাবহারকারী সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ বাড়ে কোনো কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিন খুব দ্রুত সেই কীওয়ার্ড সম্পর্কিত ইনডেক্সকৃত ডাটা প্রসেস করে এবং সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে দেখায়। মূলত ইনডেক্সিং এর সময় সার্চ ইঞ্জিন সার্চ রেজাল্ট এর জন্য একই কীওয়ার্ড সম্পর্কিত ওয়েবসাইট গুলোর পৃথক তালিকা তৈরি করে। যেটা নির্ভর করে কোনো ওয়েবসাইট সকল বিষয়েই কতটা অপটিমাইজড এবং কনটেন্ট কোয়ালিটি কত ভালো। এসইও এর ভাষায় অপ্টিমাইজেশন হলো একটি ওয়েবসাইট এর সকল ধরণের দুর্বলতা কাটিয়ে সর্বোচ্চ বেনিফিট পাওয়ার প্রক্রিয়া।
এসইও কত প্রকার এবং কি কি?
এসইও প্রথমত দুই প্রকার।
১. অর্গানিক এসইও
২. পেইড এসইও
১. অর্গানিক এসইও
অর্গানিক এসইও একটি অনলাইন মার্কেটিং কৌশল যা কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের মতো ছোট ছোট সাব-স্ট্র্যাটেজি নিয়ে গঠিত, যা আপনার ওয়েবসাইটকে অর্গানিক (সার্চ ইঞ্জিনকে কোনো ধরণের টাকা প্রদান ছাড়াই) সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের শীর্ষে রাখতে সাহায্য করে।
২. পেইড এসইও
পেইড এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিনকে টাকা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের শীর্ষে রাখার কৌশল।
কাজের পদ্ধতি অনুসারে অর্গানিক এসইও ৩ প্রকার:
১. হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)
২. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO)
৩. গ্রে হ্যাট এসইও (Grey Hat SEO)
১. হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)
সার্চ ইঞ্জিন এর সকল গাইডলাইন ১০০% অনুসরণ করার মাদ্ধমে এসইও করার পদ্ধতিকে হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO) বলে। আসুন এবার হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO) এর প্রধান বৈশিষ্ট গুলো জেনে নেই।
ইনফোরমেটিভ কনটেন্ট
এটি হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO) এর প্রধান বৈশিষ্ট। আপনি যে বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখবেন সেটি যেন তথ্যপূর্ণ হয়। এক্ষেত্রে আর্টিকেল কোথাও থেকে কপি করা যাবে না, তবে আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখতে পারবেন।
কীওয়ার্ড ডেনসিটি
কীওয়ার্ড ডেনসিটি হলো আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে কীওয়ার্ড এর ঘনত্ব। আপনি যদি ৫০০ ওয়ার্ডের একটি আর্টিকেল লিখেন তাহলে ৩ বার কীওয়ার্ড রাখাটা আমি রিকমেন্ট করি।
কোনো বাক্যের মধ্যে জোর করে কীওয়ার্ড ঢুকানো যাবেনা। লিখতে গিয়ে ন্যাচারালি এসেছে এমনটাই যেন মনে হয়। এতে আর্টিকেল এর গুনগত মান ভালো থাকে।
রেলিভেন্ট কনটেন্ট
আপনার ওয়েবসাইট যে সম্পর্কিত, সকল কনটেন্ট সেই সম্পর্কিত হতে হবে। ধরুন আপনি ফুড ব্লগিং এর জন্য একটি ওয়েবসাইট বানালেন সেখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের খাবার নিয়েই লেখালেখি করতে হবে। আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটে ফুটবল নিয়ে আর্টিকেল লিখেন তাহলে সেটা রিলেভেন্ট কনটেন্ট হবে না।
রেলিভেন্ট ব্যাকলিংক
একটি ওয়েবসাইটে রাঙ্ক করানোর জন্য ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব অপরিসীম। ধরুন আপনার ওয়েবসাইট বার্গার রিলেটেড তাহলে আপনাকে ফুড রিলেটেড সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে হবে। আপনি যদি কোনো গেমিং সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেন তাহলে সেটা রেলিভেন্ট ব্যাকলিংক হবে না।
২. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO)
যেকোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পেজ এ আনার জন্য এসইও এক্সপার্টরা বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO) এর কৌশল অবলম্বন করে একটি ওয়েবসাইটকে খুব তাড়াতাড়ি সার্চ ইঞ্জিন এ রাঙ্ক করানো সম্ভব। আবার সার্চ ইঞ্জিন যখন তখন সেই ওয়েবসাইটকে রাঙ্ক থেকে সরিয়ে দেয়। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO) পদ্ধতি এক প্রকার দুর্নীতি। যেটাকে অনলাইন এর ভাষায় স্পামিং বলে থাকি। এই পদ্ধতিতে সার্চ ইঞ্জিন প্রদত্ত কোনো গাইডলাইন মানা হয়না। ফলে সার্চ ইঞ্জিন যখন বুঝতে পারে কোনো সাইট স্পামিং করে প্রথম পেজে এসেছে তখন সার্চ ইঞ্জিন তাকে নিজ দায়িত্বে প্রথম পেজ থেকে সরিয়ে দেয়। আসুন এবার ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO) এর প্রধান বৈশিষ্ট গুলো জেনে নেই।
কপি কনটেন্ট
কপি কনটেন্ট বলতে অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট বা আর্টিকেল চুরি করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা।
কীওয়ার্ড স্টাফিং
আমরা কোনো সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ বারে যা লিখে সার্চ করি সেটাই কীওয়ার্ড। কনটেন্ট এ ন্যাচারাল ভাবে কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে আর্টিকেল এর গুনগত মান ভালো থাকে। কোন ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন এ র্যাঙ্ক করার কৌশল গুলোর মধ্যে এটাও একটি। কিন্তু ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO) এক্সপার্টরা কীওয়ার্ড ফোর্স করে বার বার ব্যবহার করে, এটাকেই মূলত কীওয়ার্ড স্টাফিং বলা হয়।
অদৃশ্য কনটেন্ট
একটি কনটেন্ট বা আর্টিকলে ফোর্স করে বার বার একই কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে আর্টিকেল এর গুলগত মান ভালো থাকে না। তাই ইউজার সেটা পরে বিরক্ত হয়ে তার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরণের কনটেন্ট গুলো অদৃশ্য করে রাখে। এটা করে ইউজারকে ধোকা দেয়া যেতে পারে কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজেই বুঝতে পারে। যখন সার্চ ইঞ্জিন এটা বুঝতে পারবে তখন সাথে সাথেই ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দিবে।
ইরেলিভেন্ট ব্যাকলিংক
ধরুন আপনার সাইট হলো ফুড রিলেটেড কিন্তু কোনো গেমিং অথবা পর্ন সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিলে সেটাই ইরেলিভেন্ট ব্যাকলিংক। একটি ওয়েবসাইটে রাঙ্ক করানোর জন্য ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব অপরিসীম। ঠিক তেমনি ব্যাকলিংক যদি হয় ইরেলিভেন্ট তাহলে সর্বনাশ। ইরেলিভেন্ট ব্যাকলিংক করে সাইট দ্রুত রাঙ্ক করা সম্ভব কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন যখনই সেটা বুঝতে পারবে আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দিবে এবং বোনাস হিসেবে পেনাল্টি ও খেতে পারেন।
ক্লকিং
ক্লকিং হচ্ছে এক ধরণের ধোঁকাবাজি। যেটা মূলত সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে করা হয়। ধরুন আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে বললেন আপনার আর্টিকেলটি বার্গার সম্পর্কিত কিন্তু ভিজিটরকে দেখাচ্ছেন সাইকেল সম্পর্কিত আর্টিকেল। এই পদ্ধতিকে ক্লকিং বলা হয়।
৩. গ্রে হ্যাট এসইও (Gray Hat SEO)
সহজ ভাষায় হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO) এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO) এর মধ্যবর্তী পদ্ধতিকে আমরা গ্রে হ্যাট এসইও বলতে পারি। কোনো শর্টটাইম বিজনেস এর জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। তবে লংটাইম বিজনেস এর জন্য এটা করা ঠিক না। কারণ সার্চ ইঞ্জিন গুলো প্রতি বছর এই ২-৩ বা তারও বেশি বার বোরো ধরণের আপডেট নিয়ে আসেন। ঠিক তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে র্যাঙ্ক করা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অনেক সময় ব্লক করে দেয়।
এসইও কেন প্রয়োজন?
আমাদের প্রত্যেকেরই ওয়েবসাইট বানানোর পিছনে কোন না কোন উদ্দেশ্য থাকে। ধরুন, আপনার একটি টি-শার্টের কোম্পানি আছে আপনি একটি ওয়েবসাইট বানালেন এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইনফর্মেশন দিলেন। তাহলে অবশ্যই এখন আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে, আপনার কোম্পানি সম্পর্কে জানবে এবং প্রোডাক্ট গুলো দেখবে। তাদের ভাল লাগলে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে প্রোডাক্টগুলো নেয়ার জন্য।
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার জন্য এবং প্রোডাক্ট আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করা দরকার। কারণ এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট পেজের প্রথমদিকে দেখাবে, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়বে এবং টার্গেটেড কাস্টমার পাওয়ার ফলে কোম্পানির প্রফিট বেড়ে যাবে।
সুতরাং ছোট বড় সকল অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসইও ছাড়া কোন ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করা সম্ভব না ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক না করলে আপনি টার্গেটেড ভিজিটর পাবেন না, ভিজিটর না পেলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা সম্ভব না।